সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন এই নতুন প্রোগ্রামিং ভাষার উদ্ভাবন করে। এটি প্রথম বাজারজাত হয় ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে। এর চীফ আর্কিটেকচার ছিলেন অ্যানডার্স হেজলসবার্গ (Anders Hejlsberg) যিনি একজন বিখ্যাত প্রোগ্রামিং বিশারদ। সি শার্প প্রায় জাভার মত একটি ভাষা হলেও পুরোপুরি একরকম নয়। ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, বিশেষত সি শার্পের ২.০ ভার্সনে। ভাষাগতভাবে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো নিরাপত্তা (সি শার্পে অনিরাপদ প্রোগ্রামিং করা সম্ভব), কো-রুটিন (পাইথনের মত yield নির্দেশনা), এবং নামবিহীন ফাংশন।
প্যারাডাইমঃ
মাল্টি-প্যারাডাইম: স্ট্রাকচার্ড, ইম্পেরাটিভ, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড, ইভেন্ট-ড্রাইভেন, টাস্ক-ড্রাইভেন, ফাংশনাল, জেনেরিক, রিফ্লেক্টিভ, কন্কারেন্ট
এটি ডিজাইন করেছেন মাইক্রোসফট এবং ডেভেলপারত মাইক্রোসফট। এর সর্বশেষ ভার্সন ৫.০ আগস্ট ১৫, ২০১২-তে প্রকাশিত হয়। এর টাইপিং ডিসিপ্লিন হল স্ট্যাটিক, ডাইনামিক, শক্তিশালী, নিরাপদ, নমিনেটিভ, partially inferred
অনেক গুলো প্রোগ্রামিং ভাষার মিশ্রণ বলে সি শার্প যে বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে তা হল:
- এর বাক্যতাত্ত্বিক পরিশুদ্ধি জাভা এর চেয়ে বেশি, কিন্তু সহজতর।
- ইউজার ইন্টারফেস ভিত্তিক প্রোগ্রামিং-এর জন্য এই ভাষাটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান দিতে পারে।
- এর সাহায্যে উইন্ডোজ ফোনের অ্যাপ তৈরী করা যায়।
মাইক্রোসফট এর ডট নেটপ্লাটফর্মের সাথে একীভূত হওয়ায় সি শার্প এ আরো বৈচিত্র যোগ হয়েছে এবং এর জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। তবে ডট নেট-এ একীভূত সি শার্প এ শুধু মাত্র ডট নেট রান টাইম এর অধীনে চলতে পারে এরকম কোড চালানো যায়। এ ধরনের কোডকে ম্যানেজড কোড বলা হয়।
সি# এর পরিবার:
সি# প্রোগ্রমিং ল্যাঙ্গেয়েজটি সরাসরি সি, সি++ এবং জাভার সাথে সম্পর্কীত। এজন্য সি# এর দাদা বা পিতামহ বলা হয় সি কে।